বাঙালির মুক্তি, স্বাধীনতার স্পৃহা আর মুক্তিযুদ্ধকালের সবচেয়ে মর্মন্তুদ পর্ব গণহত্যার ইতিহাসকে মেলে ধরেছে খুলনার ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’।
১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতনের নিদর্শন সংরক্ষণ, বধ্যভূমি ও গণকবর-সংক্রান্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা, গণকবর ও বধ্যভূমি চিহ্নিত করা এবং গবেষণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তারা। বিশেষায়িত এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে একাত্তরের গণহত্যা ও নির্যাতনের বহু নিদর্শন, ছবি ও নথিপত্র।
গণহত্যা–নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর। ছবি: সাদ্দাম হোসেন
আর্কাইভ ও জাদুঘরের প্রবেশমুখেই আছে ১৯৭১ সালের গণহত্যা স্মারক মানচিত্র। আছে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আলোকচিত্র, ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটে বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম নির্যাতনের চিত্রাবলি। আছে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মুহূর্তের আলোকচিত্র। একের পর এক সাজানো হয়েছে যুদ্ধকালীন নানা ধরনের নির্যাতনের আলোকচিত্র। আছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনার ওপর প্রকাশিত ম্যাগাজিন ও স্মরণিকাও। সময়ের সঙ্গে এই জাদুঘরের কলেবর বেড়েছে, বেড়েছে নথিপত্রের সংখ্যাও।
একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল জাদুঘরের। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরের ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোডের দ্বিতল একটি বাড়ি উপহার দেন। সেই ভবন ভেঙে এখন জাদুঘরের জন্য ছয়তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই সময়টায় জাদুঘর স্থানান্তরিত হয়েছে ৪২৪ সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার (দ্বিতীয় ফেজ) ৬ নম্বর রোডে। জাদুঘরটি ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সোমবার বাদে অন্য দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং নভেম্বর থেকে জানুয়ারি সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এ ছাড়া প্রতি শুক্রবার এটি বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। জাদুঘরে প্রবেশ ফি ৫ টাকা।
উত্তম মণ্ডল, খুলনা
প্রথম আলো
২১ ডিসেম্বর ২০১৯