একাত্তরের গণহত্যা ও নির্যাতনের স্মৃতি তরুন প্রজন্মের মানস জগতে প্রতিষ্ঠিত করার মহান ব্রত নিয়ে যে জাদুঘরের জম্ম, কিছুদিনের মধ্যে তাঁর স্বপ্নদ্রষ্টা মুনতাসীর মামুন জাদুঘরের সুহৃদ (বন্ধু/স্বজন) সমাবেশের প্রস্তাব করেন। জাদুঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তরুণ প্রজম্মের কাছে এর বার্তা পৌছে দেয়া। আর এই কাজটি করার জন্য জাদুঘরের সুহৃদের প্রয়োজনীয়তার কথা অধ্যাপক মামুন উল্লেখ করেন। গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের কার্যাবলী তরুণ প্রজন্মেরর মাঝে প্রচার, প্রজন্মকে জাদুঘরের সাথে পরিচয় করা, তাদের মাধ্যমে গণহত্যা- নির্যাতনে শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদের স্মৃতিচিহ্ন অনুসন্ধান এবং সেগুলো সংগ্রহ করা। এ লক্ষ্যে জাদুঘর ‘সুহৃদ সমাবেশ’ গঠন করা হয়। ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে সুহৃদ সমাবেশ গড়ে উঠলেও নানাকারণে এর কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি পূর্বের কাজের কথা মাথায় রেখে পুরাতন এবং নতুনকিছু সদস্য নিয়ে কাজ শুরু করে সমাবেশ। আর্কাইভ জাদুঘরের পরিচালনা পরিষদের প্রস্তাবে ট্রাস্টি সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ঠ সুহৃদ সমাবেশের এ্যাডহক কমিটি গঠন করেন। অমল কুমার গাইনকে আহবায়ক, বায়েজিদ খানকে সদস্যসচিব, আঁখি সিদ্দিকাকে কোষাধ্যক্ষ এবং আবু তাহের প্রিন্স ও অনুপ কুমার মন্ডলকে সদস্য করে সুহৃদ সমাবেশের কমিটি গঠন করা হয়। সুহৃদ সমাবেশের একটা উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছে। ডা. শেখ বাহারুল আলম এবং গণহত্যা জাদুঘর গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক(প্রশাসন) জনাব শহিদুল ইসলাম সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা। ৫ সদস্যের এই এ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত করে ০৪ এপ্রিল ২০১৯ জাদুঘর সুহৃদ সমাবেশের জন্য অমল কুমার গাইনকে সভাপতি এবং আবু তাহের প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের পূর্ণঠঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।