৩ ডিসেম্বর ১৯৭১। রাত দুইটার দিকে হেমায়েত বাহিনীর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় চারদিক থেকে কোটালীপাড়া থানা, মসজিদ, গোডাউন ঘরে অবস্থানকারী শত শত পাকিস্তানি হানাদার সদস্যকে আক্রমণ করা হবে। সে অনুযায়ী আক্রমণ পরিকল্পনার ছক ঠিক করে ভোর চারটার দিকে একসঙ্গে চারদিক থেকে আক্রমণ শুরু হয়। পাল্টা আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তানি সেনারা। কিন্তু চারদিক থেকে পরিকল্পিত আক্রমণের মুখে পরাস্ত হয় তারা। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চার শতাধিক পাকিস্তানি হানাদার হেমায়েত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
কোটালীপাড়ার আকাশে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা পত পত করে উড়তে থাকে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এদিন আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। অনেক দুঃখ-বেদনার পরও সেদিন এলাকার মানুষের মধ্যে ছিল আনন্দের জোয়ার। কেননা সে দিন কোটালীপাড়ার মানুষ মুক্তির স্বাদ পেয়ে দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে। এসব বড় যুদ্ধ ছাড়াও অসংখ্য ছোট যুদ্ধ করেছে হেমায়েত বাহিনীর যোদ্ধারা।